Subscribe Us

header ads

কোষপর্দার গঠন ও কাজ(Class VIII ,RKM, Rahara)

 কোষ পর্দার গঠন সম্পর্কিত বিভিন্ন নকশা বা মডেল প্রচলিত আছ। (স্যান্ডউইচ মডেল, রবার্টসনের একক পর্দা নকশা) তবে সর্বাপেক্ষা সর্বজনস্বীকৃত মডেলটি হলো ফ্লুইড মোজাইক মডেল (Fluid mosaic model by Singer & Nicholson,1972)।

 তরল মােজেইক গঠনটির বৈশিষ্ট্যগুলি হল ঃ




 (i) প্রকৃত অর্থে কোশপর্দার এই গঠনে প্রােটিন অণুগুলি লিপিড সমুদ্রের মধ্যে ভাসমান বরফের মতাে অবস্থান করে (Protein icebergs in a sea of lipids)। 

(ii) কোশপর্দা দ্বিস্তর লিপিড এবং বহিস্থ ও অন্তঃস্থ প্রােটিন অণু দ্বারা গঠিত। 

 (iii) কোশপর্দার দ্বিস্তরীয় লিপিড
অর্ধতরল (Quasifluid) অবস্থায় থাকে।

(iv) কোশপর্দার মােট প্রােটিনের 70% অংশ গঠন করে অন্তঃস্থ প্রােটিন।

(v) অন্তঃস্থ বা ইন্টিগ্রাল প্রােটিন অণুগুলি সম্পূর্ণভাবে
লিপিড দ্বিস্তরের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে এবং চ্যানেল তৈরি করে। এদের ট্রান্সমেমব্রেন (transmembrane) প্রােটিনও বলা হয়।

(Vi) বহিঃস্থ বা পরিধিস্থ বা এক্সট্রিনসিক প্রোটিন লিপিড স্তরের দুই প্রান্তে উপস্থিত থাকে। 


(vii) উভয়প্রকার প্রােটিন অণুগুলিই মােজেইক দানার (Mosaic granules) মতাে লিপিড স্তরে আবদ্ধ থাকে বলে একে ‘তরল মােজেইক গঠন’ বলা হয়।

(vii) প্রতিটি ফসফোলিপিড অণুর দুটি প্রান্ত থাকে—a) জলাকর্ষী (Hydrophilic) মস্তক অংশ। এগুলি পরস্পরের বিপরীতে বিন্যস্ত থাকে এবং (b) জলবিক (Hydropholic) পুচ্ছ অংশ। এগুলি পরস্পরের দিকে বিন্যস্ত থাকে। এইরূপ বিন্যাস কোশপর্দাকে জল প্রতিরােধী করে গড়ে তােলে। 

(ix) কোশপর্দার বাইরের দিকে (Exoplasmic site) ছােটো কার্বোহাইড্রেট অণু প্রােটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গ্লাইকোপ্রােটিন এবং লিপিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গ্লাইকোলিপিড গঠন করে। এদের একত্রে গ্লাইকোক্যালিক্স (Glycocalyx) বা সেলকোট বলে।

 (x) গ্লাইকোক্যালিক্সের উপস্থিতি কোশপর্দাকে অপ্রতিসাম্যতা (asymmetry) দান করে।

## কোষপর্দার কাজ সংক্ষেপে বর্ণনা করো 


1.আকৃতি দান : 
কোশের নির্দিষ্ট আকৃতি (বিশেষ করে প্রাণীকোশের ক্ষেত্রে) গঠনে সাহায্য করে।

2.যান্ত্রিক দৃঢ়তা দান : 
কোশের যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করে। 

3.রক্ষণ : কোশের মধ্যের বিভিন্ন অংশকে রক্ষা করে এবং বাইরের অংশ(তরল) থেকে কোশীয় অংশকে পৃথক রাখে।

4.পদার্থের আদানপ্রদান
ব্যাপন, অভিস্রবণ, পিনােসাইটোসিস, ফ্যাগােসাইটোসিস প্রভৃতি পদ্ধতিতে বিভিন্ন পদার্থের আদানপ্রদান নিয়ন্ত্রণ করে, তথা প্রভেদক ভেদ্য পর্দারূপে কাজ করে।

6.ক্ষরণ
বিভিন্ন পদার্থের ক্ষরণে এবং উত্তেজনা পরিবহণে সাহায্য করে।

7.শােষণ
মাইক্রোভিলি গঠনের মাধ্যমে শােষণে সাহায্য করে।

Post a Comment

0 Comments