1. মাইটোকনড্রিয়ার গঠনগত বৈশিষ্ট্য :
মাইটোকন্ড্রিয়া দ্বিএকক পর্দাবৃত কোশীয় অঙ্গাণু। ইউক্যারিওটিক কোশের সাইটোপ্লাজমে মাইটোকন্ড্রিয়া বিক্ষিপ্তভাবে সজ্জিত থাকে। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণযন্ত্রে মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠনে নিম্নলিখিত অংশগুলি দেখা যায়—
(a) আদর্শ মাইটোকনড্রিয়া দণ্ডকার, বদ্ধ থলি সদৃশ গঠনযুক্ত যা দুটি একক পর্দা দ্বারা বেষ্টিত।মাইটোকনড্রিয়া প্রস্থে 0.5 um ও দৈর্ঘ্যে 1- 4 um.
(b) অন্তঃপর্দা ও বহিঃপর্দার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ স্থানকে পেরিমাইটোকনড্রিয়াল স্থান বলা হয়।
(c) অন্তঃপর্দা দিয়ে ঘেরা প্রশস্ত অঞ্চলকে অন্তঃপ্রকোষ্ঠ বলা হয়। এটি সমসত্ত্ব, দানাদার, ঘন, জেলির মতাে ধাত্রবস্তু দ্বারা পূর্ণ থাকে।
(d) অন্তঃপর্দাটি ভিতরদিকে ভাঁজ হয়ে আঙুলের মতাে কিছু প্রবর্ধক বা ক্রিস্টি গঠন করে। এটি মাইটোকনড্রিয়ার ধাত্রকে কয়েকটি অসম্পূর্ণ প্রকোষ্ঠে বিভক্ত করে।
(e) মাইটোকনড্রিয়ার ধাত্রে (Matrix)ক্ষুদ্রাকার রাইবােজোম (55S),গোলাকার দ্বিতন্ত্রী DNA ও শ্বসনে(TCA cycle) সহায়ক উৎসেচক থাকে।
(f) ক্রিস্টির ওপর সমান দূরত্বে অসংখ্য দানাদার বস্তু থাকে।এগুলিকে F1, কণা বা ফারনানডেজ মােরান অধঃএকক (Sub-unit) বলে। এই অধঃএকক দানাগুলি বৃন্তযুক্ত হয় এবং তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত – ভূমি, দণ্ড ও মস্তক।
(g) বহিঃপদার গায়েও কিছু বৃন্তহীন দানা থাকে। এদের পারসনের অধঃএকক (sub unit) বলে।
মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ (Functions of Mitochondria) ঃ
(i) সবাত শ্বসনের ভূমিকা (Role in Aerobic Respiration) ঃ
মাইটোকন্ড্রিয়ার ধাত্র ও অন্তঃপর্দাস্থিত উৎসেচকের সাহায্যে খাদ্যবস্তুর সম্পূর্ণ জারণ ঘটার ফলে খাদ্যমধ্যস্থ শক্তির পুরােপুরি মুক্তি ঘটে।
(ii) কোশের শক্তিঘর (Power house of Cell) শক্তি সরবরাহকারী ATP মাইটোকন্ড্রিয়াতে তৈরি হয়(ক্রেবস চক্রের মাধ্যমে) বলে মাইটোকন্ড্রিয়াকে ‘কোশের শক্তিঘর’ (Power house of Cell) বলা হয়।
(ii) কুসুম উৎপাদন (Yolk formation) : মাইটোকন্ড্রিয়া ডিম্বাণুতে কুসুম বা Yolk উৎপাদনে সাহায্য করে।
(iv) ফ্যাটি অ্যাসিড বিপাক (Metabolism of fatty acids) ঃ
মাইটোকন্ড্রিয়াতে ফ্যাটি অ্যাসিডের বিটা জারণ ঘটে।


0 Comments